রবিবার, ১১ মে, ২০২৫, ২৮ বৈশাখ, ১৪৩২
Live TV
সর্বশেষ

মানুষের জীবনে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র গুরুত্ব ও মর্যাদা

ইসলামী ডেস্ক
২৫ মে, ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ণ
মানুষের জীবনে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র গুরুত্ব ও মর্যাদা
২৫ মে, ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ণ

ফাইল ছবি

কালেমা সর্বপ্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইসলামের মূলভিত্তি। কালেমার মাধ্যমে মানুষ ইসলামে প্রবেশ করে। কালেমা ঠিক না থাকলে ব্যক্তির ইমান ও ইসলাম কোনোটিই গৃহীত হয় না।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালেমাকে সর্বাগ্রে উল্লেখ করে বলেছেন, ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

এই সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রসুল এবং নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ পালন করা এবং রমজানের রোজা রাখা।

তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম হলো- তুমি এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। আর মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, রমজানের রোজা পালন করবে এবং সামর্থ্য থাকলে বাইতুল্লাহর হজ আদায় করবে।’
হযরত রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সর্বোত্তম জিকির হলো- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং উত্তম দোয়া হলো- আলহামদুলিল্লাহ।’ (জামে তিরমিজি ৩৩৮৩)

হযরত রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যদি সপ্তাকাশ ও তাতে অবস্থিত সব কিছু ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় এবং লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুকে এক পাল্লায় রাখা হয়, তবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর পাল্লা অধিক ভারী হয়ে যাবে। (সহিহ ইবনে হিব্বান)

অন্য হাদিসে আছে, হযরত রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত লাভে ওই ব্যক্তি অধিক ভাগ্যবান হবে, যে ব্যক্তি স্বীয় অন্তরে নিষ্ঠার সঙ্গে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। (সহিহ বোখারি ৯৯, ৬৫৭০)

আর এ কালিমা যেই পড়বে সেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। হযরত রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে এর ওপর মৃত্যুবরণ করবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সহিহ বোখারি ৫৮২৭)

হযরত রসুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কোনো ব্যক্তি পূর্ণাঙ্গরূপে অজু করে আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু বলবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খোলা হবে, সে যেটা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ ১৬৯)

হযরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশকালে বলবে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইয়ুহই ওয়া ইয়ুমিতু ওয়াহুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামুতু, বিইয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির বলবে, আল্লাহতায়ালা তার আমলনামায় দশ লাখ নেকি লেখেন এবং দশ লাখ গোনাহ মোচন করেন এবং দশ লাখ (মর্যাদার) স্তর বৃদ্ধি করেন এবং জান্নাতে তার জন্য বিশেষ বাড়ি নির্মাণ করবেন। (জামে তিরমিজি ৩৪২৯)

জই২৪ ডটকম/ইসলাম ও জীবন