শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
Live TV
সর্বশেষ

একাত্তরের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ

জনতার ইশতেহার ডেস্ক
১৫ মে, ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ণ
একাত্তরের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ
১৫ মে, ২০২৫, ১১:০৬ অপরাহ্ণ

জই২৪ ডটকম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যে সামরিক হামলা চালানো হয়েছে, তা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ।

বুধবার (১৪ মে) শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’-এ অংশ নেয়া সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে তাদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘তোমরা একাত্তরের বদলা নিয়েছো… এখন পুরো জাতি তোমাদের পাশে আছে।’ খবর দ্য ডনের।

সেনাদের উদ্দেশ্যে শেহবাজ শরিফ আরও বলেন, অটল সংকল্পে শক্তিশালী বীর পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী বীরত্বের সঙ্গে তাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছে এবং প্রতিপক্ষের কাপুরুষোচিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক সাফল্যের ওপর বই লেখা হবে।

ভারতের বিরুদ্ধে এ অভিযানকে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা এবং পেশাদারিত্বের প্রমাণ বলেও অভিহিত করেন তিনি।

পহেলগাঁওকাণ্ডে পাকিস্তানকে দায়ী করে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে নারী-শিশুসহ বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুসহ স্থাপনা ধ্বংস হয়।

পাল্টা জবাবে ‘বুনিয়ানুম মারসুস’ অপারেশন চালায় পাকিস্তান। শেহবাজ জানান, পাকিস্তানের এই হামলায় ভারতের ২৬টি সামরিক স্থাপনা, বিমানঘাঁটি ও যুদ্ধবিমান লক্ষ্যবস্তু হয়। পাকিস্তান দাবি করছে, তারা একাধিক রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

শেহবাজ ভারতকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আবার হামলা করলে ভারত সবকিছু হারাবে। আমরা যুদ্ধের জন্যও প্রস্তুত, আবার শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্যও। পছন্দ ভারতের।’

তিনি আরও বলেন, পানি আমাদের জন্য ‘রেড লাইন’। যদি আমাদের নীলম-ঝেলম প্রকল্প ধ্বংস হতো, তাহলে আমরা বাগলিহারসহ ভারতের বড় বড় বাঁধ উড়িয়ে দিতাম।

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর নেতৃত্ব এবং কর্মীদের প্রশংসা করে শেহবাজ শরিফ বলেন, তারা পাকিস্তানের শত্রুদের তাদের যোগ্যতা-অবস্থান বুঝিয়ে দিয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘মোদী, আপনার আগুনঝরা বক্তব্য আপনার কাছেই রাখুন। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে এই আকাঙ্ক্ষাকে আমাদের দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না। ’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এখন তারাই বেলুচ লিবারেশন আর্মি ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো গোষ্ঠীগুলোর পেছনে আছে।’

তবে যুদ্ধের সঙ্গে শান্তির কথাও বলেন তিনি। কাশ্মীর ও পানির সমস্যায় আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘এসো, আগুন নেভাই। বসে কথা বলি।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গেও কথা বলেছেন শেহবাজ। তিনি জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল এবং তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।

জই২৪ ডটকম/আন্তর্জাতিক