বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২
Live TV
সর্বশেষ

এলজিইডির এলকেএসএস’এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার নুরুল ইসলামের খুঁটির জোর কোথায়?

জনতার ইশতেহার ডেস্ক
১ মে, ২০২৫, ১:১৪ পূর্বাহ্ণ
এলজিইডির এলকেএসএস’এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার নুরুল ইসলামের খুঁটির জোর কোথায়?
১ মে, ২০২৫, ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

জই২৪ ডটকম ফটো

এলজিইডি’র অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও বর্তমানে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি (এলকেএসএস)-এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় পাঁচ’শ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন এমন আলোচনা এখন পুরো এলজিইডিজুড়ে।

অভিযোগে প্রকাশ, শুধুমাত্র অসদুপায় অবলম্বনের মাধ্যমেই ঢাকায় বহুতল বাড়িসহ ১০টি বিলাসবহুল ফ্লাটের মালিকে এই নূরুল ইসলাম। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার এফডিআর। ব্যক্তিগত গাড়িও আছে কয়েকটি। গ্রামের বাড়িতে মার্কেট, বাংলো, কৃষি খামার, একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ। যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক একাউন্ট তলব এবং তদন্ত করলেই অভিযোগের প্রমান মিলবে বলে জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী অভিযোগকারীগণ।

তারা জানান যে, নূরুল ইসলাম এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী থাকাকালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনসহ বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। সে সময় নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল।

অবসরের পর এলজিইডি’র সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম দোসর আলী আখতারের আশির্বাদে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি (এলকেএসএস)-এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হন। দায়িত্ব গ্রহনের পর এখানে তৈরী করেছেন নিজস্ব সিণ্ডিকেট, আর এই সিণ্ডিকেটের মাধ্যমে বদলী ও নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেন দেদারছে।

আলী আখতারের প্রভাবে তিনি এলজিইডি ভবনের আরডিইসি ভবনের ১৪ তলায় একটি বিশাল কক্ষ বাগিয়ে নিয়েছেন। অথচ তার অফিসিয়াল কোনো কাজ করেন না বললেই চলে। অভিযোগকারীরা জানান, নুরুল ইসলাম এখানে খুব একটা বসেন না। কখনো লাঞ্চ করেন, আবার কখনো দুপুরের পরে এসে বিশ্রাম নেন। আর এসময় তার কক্ষে বিভিন্ন বয়সের নারীদের আনাগোনা দেখা যায়। নুরুল ইসলামের রমনীপ্রীতিও রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতারের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পের পিডি’দের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নানান অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তিনি দিনের বেলা অফিস টাইমে এলকেএসএস-এ অফিস করতেন না। এখনো করেন না। সারা দিন বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের কক্ষে ঘুরাঘুরি আর খোশগল্প করে টাইম পাস করেন। নূরুল ইসলামের দৌরাত্মে অনেক প্রকল্প পরিচালক রীতিমতো ত্যাক্ত বিরক্ত।

অবাক করার বিষয় হলো- হাসিনা সরকারের পতনের পর আলী আখতার অবসরে গেলেও রহস্যজনক কারণে বহাল তবিয়তে আছেন এলকেএসএস-এর ম্যানেজার নূরুল ইসলাম!

অভিযোগ রয়েছে পরোক্ষভাবে নিজে এলজিইডি’র ঠিকাদারী করেন। পাশাপাশি প্রকল্পের বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজ তদবির করে পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিয়ে কমিশন বাণিজ্য করছেন। টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্য করছেন।

আলী আখতারের অবসরের পর বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. আবদুর রশীদ মিয়াকে ব্যবহার করেও তদবীর, বদলী-নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছেন নূরুল ইসলাম।

এলজিইডি’র অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও বর্তমানে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি (এলকেএসএস) এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার মো. নুরুল ইসলাম এর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে এলজিইডি প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলজিইডি’র সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

জই২৪ ডটকম/অপরাধ

শেয়ার করুনঃ