শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২
Live TV
সর্বশেষ

দেশে ফিরলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা

জনতার ইশতেহার ডেস্ক
৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ
দেশে ফিরলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলাররা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৩৯ অপরাহ্ণ

জই২৪ ডটকম ফটো

দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ দল। গতবারও এই নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলার নারীরা।

তাই গতবারের মতো এবারেও সাফজয়ী ফুটবলারদের ছাদখোলা বাসে সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নেপাল থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছেন সাফজয়ী ফুটবলাররা। ছাদখোলা বাসে ট্রফি নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনের দিকে রওনা দিবে সাবিনারা।

বিমানবন্দর থেকে এক্সপ্রেসওয়ে, এফডিসি, সাত রাস্তার মোড়, মগবাজার ফ্লাইওভার, কাকরাইল, পল্টন, নটরডেম কলেজ, শাপলা চত্বর হয়ে বাফুফে ভবনে পৌঁছাবে সাফজয়ী ফুটবলারদের বহনকারী ছাদখোলা বাস।

বাফুফে ভবনে সাফজয়ী ফুটবলারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া।

বুধবার রাতে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ‘নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৪’ এ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে এই নেপালকেই ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাবিনা-তহুরারা।

বুধবার ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। বিরতির পর ৫২ মিনিটেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এ সময় আক্রমণে ওঠে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। নেপালের ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি বাড়িয়ে দেন সামনে থাকা তহুরা খাতুনকে। তহুরা বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের ভেতরে। দৌড়ে গিয়ে সেটাতে কোনওরকমে ডান পা লাগিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন। তাকে রুখতে আসা নেপালের গোলরক্ষক ও আরেকজন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সেখানেই ভূপাতিত হন।

তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি বাটলারের শিষ্যরা। ৫৬ মিনিটেই সমতা ফেরায় নেপাল। শেষ দিকে ঋতুপর্ণার দারুণ এক গোলে শিরোপা নিশ্চিত করেন সাবিনারা।

৮১ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা বিজয়সূচক গোলটি করেন। বাঁ প্রান্ত থেকে অসাধারণ শটে নেপালি গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ঋতুপর্ণা। এই গোলেই শিরোপা ধরে রাখার স্বপ্ন পূরণ হয় বাংলাদেশের।

এবারের সাফের সেরা যারা:

ফেয়ার প্লে: ভুটান
সেরা গোলরক্ষক: রূপনা চাকমা (বাংলাদেশ)
সর্বোচ্চ গোলদাতা: ডেকি লাজোম (ভুটান)
সেরা খেলোয়াড়: ঋতুপর্ণা চাকমা (বাংলাদেশ)

ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়: ঋতুপর্ণা চাকমা (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশ দল:
রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভিন, শিউলি আজিম, আফঈদা খন্দকার, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, সাবিনা খাতুন (স্বপ্না রানী), তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

জই২৪ ডটকম/নারী ফুটবল

শেয়ার করুনঃ