ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের প্রাচীন ইতিহাস

জই২৪ ডটকম ফটো
ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার নামকরণের প্রাচীন ইতিহাসঃ
বাংলা মটর:
পাকিস্তান আমলে এই এলাকার নাম ছিলো পাক মটর। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে যখন বাংলাদেশ হলো,তখন থেকেই পাক মটর পরিবর্তন হয়ে নাম হলো বাংলা মটর।
ভূতের গলিঃ
এখানে বৃটিশ একজন লোক থাকতেন নাম ছিল Mr. boot, তার নাম থেকে বুটের গলি, পরবর্তীকালে ভূতের গলি নাম হয়েছে।
এলিফ্যান্ট রোড/ হাতিরপুল :
পিলখানা হতে হাতিগুলোকে নিয়ে যাওয়া হতো “হাতির ঝিল” এ গোসল করাতে, তারপর “রমনা পার্ক”এ রোঁদ পোহাতো।
সন্ধ্যের আগেই হাতির দল পিলখানায় চলে আসতো। যাতায়াতের রাস্তাটির নামকরণ সেই কারণে এলিফ্যান্ট রোড। পথের মাঝে ছোট্ট একটি কাঠের পুল ছিলো, যার নামকরণ হলো “হাতির পুল”।
ধানমন্ডিঃ
এখানে এককালে বড় একটি হাট বসতো। হাটটি ধান ও অন্যান্য শস্য বিক্রির জন্য বিখ্যাত ছিল।
গেন্ডারিয়া
ইংরেজি শব্দ Grand Area থেকে এসেছে, এখানে আগের দিনের অভিজাত ধনী ব্যাক্তিগন থাকত।
মহাখালিঃ
মহা কালী নামের এক মন্দীরের নাম থেকে হয়েছে বর্তমানের মহাখালী।
ইন্দিরা রোডঃ
এককালে এ এলাকায় “দ্বিজদাস বাবু” নামে এক বিত্তশালী ব্যক্তির বাসস্থান, অট্টলিকার পাশের সড়কটি নিজেই নির্মাণ করে বড় কন্যা “ইন্দিরা” নামেই নামকরণ।
পিলখানাঃ
ইংরেজ শাসনামলে প্রচুর হাতি ব্যবহার করা হতো। বন্য হাতিকে পোষ মানানো হতো যেসব জায়গায়, তাকে বলা হতো পিলখানা। বর্তমান “পিলখানা” ছিলো সর্ববৃহৎ।
কাকরাইলঃ
ঊনিশ শতকের শেষ দশকে ঢাকার কমিশনার ছিলেন মিঃ ককরেল। নতুন শহর তৈরী করে নামকরণ হলো “কাকরাইল”।
রমনা পার্কঃ
অত্র এলাকায় বিশাল ধনী রম নাথ বাবু মন্দির তৈরী করেছিলো “রমনা কালী মন্দির”। মন্দির সংলগ্ন ছিলো ফুলের বাগান আর খেলাধুলার পার্ক।
পরবর্তীতে সৃষ্টি হয় “রমনা পার্ক”।
গোপীবাগঃ
গোপীনাগ নামক এক ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন। নিজ খরচে “গোপীনাথ জিউর মন্দির” তৈরী করেন। পাশেই ছিলো হাজারো ফুলের বাগান “গোপীবাগ”।
টিকাটুলিঃ
হুক্কার প্রচলন ছিলো। হুক্কার টিকার কারখানা ছিলো যেথায় সেটাই “টিকাটুলি”।
তোপখানাঃ
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর গোলন্দাজ বাহিনীর অবস্থান ছিল এখানে।
পুরানা পল্টন, নয়া পল্টনঃ
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ঢাকাস্থ সেনানিবাসে এক প্ল্যাটুন সেনাবাহিনী ছিল, প্ল্যাটুন থেকে নামকরন হয় পল্টন। পরবর্তীতে আগাখানিরা এই পল্টনকে দুইভাগে ভাগ করেন, নয়া পল্টন ছিল আবাসিক এলাকা আর পুরানা পল্টন ছিল বানিজ্যিক এলাকা।
বায়তুল মোকারম :
১৯৫০-৬০ দিকে প্রেসিডেন্ট আয়ুবের সরকারের পরিকল্পনা পুরানো ঢাকা-
নতুন ঢাকার যোগাযোগ রাস্তার। তাতে আগাখানীদের অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বাড়িঘর চলে যায়।
আগাখানীদের নেতা আব্দুল লতিফ বাওয়ানী (বাওয়ানী জুট মিলের মালিক) সরকারকে প্রস্তাব দিলো, তারা নিজ খরচে এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ মসজিদ তৈরী করবে।
এটা একটা বিরাট পুকুর ছিল “পল্টন পুকুর”,
এই পুকুরে একসময় ব্রিটিশ সৈন্যরা গোসল করতো। ১৯৬৮ সনে মসজিদ ও মার্কেট প্রতিষ্ঠিত হয়।
পরীবাগঃ
পরীবানু নামে নবাব আহসানউল্লাহর এক মেয়ে ছিল। সম্ভবত পরীবানুর নামে এখানে একটি বড় বাগান করেছিলেন আহসানউল্লাহ।
পাগলাপুলঃ
১৭ শতকে এখানে একটি নদী ছিল,
নাম-পাগলা। মীর জুমলা নদীর উপর
সুন্দর একটি পুল তৈরি করেছিলেন।
অনেকেই সেই দৃষ্টিনন্দন পুল দেখতে আসত।
সেখান থেকেই জায়গার নাম “পাগলাপুল”।
ফার্মগেটঃ
কৃষি উন্নয়ন, কৃষি ও পশুপালন গবেষণার জন্য বৃটিশ সরকার এখানে একটি ফার্ম বা খামার তৈরি করেছিল। সেই ফার্মের প্রধান ফটক বা গেট থেকে
এলাকার নাম হলো ফার্মগেট।
শ্যামলীঃ
১৯৫৭ সালে সমাজকর্মী আব্দুল গণি হায়দারসহ বেশ কিছু ব্যক্তি এ এলাকায় বাড়ি করেন। এখানে যেহেতু প্রচুর গাছপালা ছিল তাই সবাই মিলে আলোচনা করে এলাকার নাম রাখেন শ্যামলী।
সূত্রাপুরঃ
কাঠের কাজ যারা করতেন তাদের বলা হত সূত্রধর।
এ এলাকায় এককালে অনেক সূত্রধর
পরিবারের বসবাস ছিলো ।
সেই থেকেই জায়গার নাম হলো সূত্রাপুর।
#ইতিহাস সংগৃহীত #
জই২৪ ডটকম /ইতিহাস

সর্বশেষ
- যেভাবে বিনামূল্যে অনলাইনে দেখবেন ক্লাব বিশ্বকাপ
- নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ১০০
- দশ দিন পর খুলল বেনাপোল বন্দর, আমদানি-রপ্তানিতে গতি
- এবার ভারতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ৭
- অতিরিক্ত ডিআইজির চার পদে রদবদল
- এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীরা: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর যাত্রা

সর্বাধিক পঠিত
- আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য হলো বাংলাদেশ
- জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র “স্পেন মাদ্রিদ” মহানগর কমিটি গঠিত
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি পরিবারকে “ফ্যামিলি কার্ড” দেওয়া হবে : তারেক রহমান
- ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম (ডিডিজেএফ) এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।
- শ্রমিক দলের আহবায়ক গফুর হাসানকে নিজ এলাকায় ফুল দিয়ে বরন
- পোরশা গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
