সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ়, ১৪৩২
Live TV
সর্বশেষ

জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা

সম্পাদকীয়
১০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা
১০ জানুয়ারি, ২০২৪, ৫:১৬ অপরাহ্ণ

সংগৃহীত ছবি

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসার মধ্য দিয়ে এদেশের প্রাণ ফিরে এসেছিল সেদিন। দেশের মানুষের মধ্যে আনন্দ ফিরে এসেছিল। খুশিতে উৎসব করেছিল বাঙ্গালি।

রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষ আনন্দে নেচেছিল নিজেদের অজান্তেই।

নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বিজয় লাভ করেও এতটা আনন্দ পায়নি যেন। পাবেই বা কি করে! হৃদপিন্ড ছাড়া কোন প্রাণি বাঁচে কি? বঙ্গবন্ধু নিজেকে বাংলার হৃদপিন্ড বানাতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছাড়া ওই সময়গুলোতে তেমনই মনে হয়েছিল। তাঁর অনুপস্থিতিতে সবকিছুই শুন্য মনে হয়েছিল। যেই ফিরে আসলেন: প্রাণ ফিরে পেলেন সবাই। আনন্দে সারাদেশের মানুষ নেচেছিল, হেসেছিল। পূর্ণতার হাসি, হৃদয় উজার করা হাসি। মানুষ গেয়েছিল ‘আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে।’

স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। জাতির জনক পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসাবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধুকে বিমানে তুলে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে।

বেলা ১০টার পর থেকে তিনি কথা বলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।

বঙ্গবন্ধু ঢাকা এসে পৌঁছেন ১০ জানুয়ারি। ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের পর বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকেল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন, সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ কর

জই২৪ ডটকম/সম্পাদকীয়