সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন

সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান।

বিশিষ্ট শিল্পপতি সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। স্ত্রী, এক ছেলে, তিন মেয়েসহ অসংখ‍্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন ফজলুর রহমান।

আজ সোমবার বাদ আসর গেন্ডারিয়ার ধুপখোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মৃত‍্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

১৯৭২ সালে ফজলুর রহমানের হাত ধরে সিটি গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়। দিনটি ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। সরিষার তেল উৎপাদনের মধ‍্য দিয়ে শুরু হয়েছিল সিটি গ্রুপের যাত্রা।
সেই উদ‍্যোগ সফল হলে দিন দিন সিটি গ্রুপের অগ্রযাত্রা আরও বেশি বিস্তৃত হতে থাকে। উৎপাদন, শিল্প উদ‍্যোগ আর বাণিজ‍্যে বাড়তে থাকে বিনিয়োগ।

বতর্মানে দেশের অন‍্যতম শীর্ষস্থানীয় গ্রুপ অব কোম্পানিজ সিটি গ্রুপ। এই গ্রুপের অধীনে ৪০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে কাজ করছেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এই শিল্পগোষ্ঠীর পণ‍্য রপ্তানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে।

পাঁচ দশকে ফজলুর রহমান গ্রুপের ব্যবসা প্রসারিত করে নিয়ে গেছেন অন্য এক উচ্চতায়, দেশীয় খাদ্য শিল্পকে নিয়ে গেছেন গতানুগতিক ব্যবসা গণ্ডির বাইরে। এছাড়াও প্যাকেজিং, শক্তি, ইস্পাত, জাহাজ নির্মাণের ব্যবসা এবং শিল্প প্রকল্পে (সিটি ইকোনমিক জোন) কোম্পানির ব্যবসার প্রসার ঘটান। ফজলুর রহমানের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং পরিশ্রমের ফলে দেশের বৃহত্তম এফএমসিজি ব্র্যান্ড ‘তীর’ তৈরি হয়েছে। তীর কেবল দেশেই পুরস্কার পায়নি, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছে। তিনি পুরান ঢাকার জনগণের জন্য দেশের অন্যতম আধুনিক হাসপাতাল আজগর আলী হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন।

উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের কারণে ফজলুর রহমান পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন কয়েকবার। তিনি ডিএইচএল-ডেইলি স্টার আয়োজিত ‘বিজনেস পার্সন অফ দ্য ইয়ার ২০০৫’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ‘সেরা করদাতা’ হন ফজলুর রহমান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বীকৃত একজন বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) তিনি। ফজলুর রহমান বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এবং বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জই২৪/শোক সংবাদ