সারাদেশে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম

কৃষকদের নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় কিছুটা প্রভাব পড়েছে দামে। দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম ১১০ থেকে বেড়ে ২২০ টাকায় দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন এবং ভোক্তা অধিকার।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) তৃতীয় দিনের মত ভোগ্যপণ্যের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। বর্তমানে চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের প্রতিটি আড়ত অনেকটা পেঁয়াজ শূন্য।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাক্তাইয়ে কিছু সংখ্যক আড়তে পেঁয়াজ থাকলেও বেচাবিক্রি নেই। এর ফলে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দামও কমেছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা।

আবার পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বগুড়ার বাজারেও। তবে, অব্যাহত অভিযান এবং দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা বাড়ার প্রভাব পড়েছে দামে। তবে দামের এমন ওঠানামায় বিপাকে পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা।

জেলায় একদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এরপরও যে দামে পেঁয়াজে বিক্রি হচ্ছে তাতেও স্বস্তিতে নেই সাধারণ ক্রেতারা।

ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় বাজার অস্থিতিশীল বলে জানান আড়ৎদাররা। তবে, তাদের আশা কয়েকদিনের মধ্যে বাজার কমার সম্ভবনা রয়েছে।

গেল কয়েকদিনের নিম্নচাপের প্রভাবে ফরিদপুরের পেঁয়াজের খেতগুলোতে পানি জমে যায়। এতে চাষিরা চাহিদা অনুযায়ী নতুন পেঁয়াজ তুলতে পারেননি। সাথে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বন্ধের খবরে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য পণ্যের এ পেঁয়াজের দর বাড়িয়ে দেয়।

তবে, বাজারের অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তার অধিদপ্তর। অভিযানে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে করা হয় জরিমানা। ফলে দু’দিনের ব্যবধানে নতুন ও পুরাতন পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

পেঁয়াজের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত পাবনা জেলাতেও দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। জেলায় পুরাতন পেঁয়াজের পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। আর খুচরায় ১৮০ টাকা পর্যন্ত। তবে, গেলো দুই দিনে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে দাম কিছুটা কমেছে।

ভোক্তা অধিকারের অব্যাহত অভিযান ও নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলেও প্রভাব পড়েনি নাটোরে। অভিযানের পরেও নাটোরের বিভিন্ন বাজারে পুরাতন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। আর গ্রীষ্মকালীন নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

এদিকে ফরিদপুরের বাজারেও কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। জেলা শহর ও আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকদের নতুন পেয়াজ মুড়িকাটা খুচরা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আর দেশি (পুরনো) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। গত ২/৩ দিন এসব বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। আর দেশি (পুরনো) পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজি ২০০ টাকা পর্যন্ত।

জই২৪/অর্থনীতি