সোমবার, ১৬ জুন, ২০২৫, ২ আষাঢ়, ১৪৩২
Live TV
সর্বশেষ

এমবিবিএসের ফলে কোটা বিতর্ক: ২৭ জানুয়ারি থেকে যাচাই শুরু

জনতার ইশতেহার ডেস্ক
২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
এমবিবিএসের ফলে কোটা বিতর্ক: ২৭ জানুয়ারি থেকে যাচাই শুরু
২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। -ফাইল ছবি

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রের, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। এ সময় তিনি আরও বলেন, এমবিবিএসের ফলে কোটার প্রতিফলন নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি বিষয়টি যাচাই করা হবে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ১৯৩ জনের (যারা কোটায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন) মধ্যে খুবই আনইউজুয়াল হবে যাদের বাবার বয়স ৬৭-৬৮ এবং যাদের সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। সেখানে যদি কোনো ত্রুটি ধরা পড়ে তাহলে সেটা দেখা হবে।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, এমবিবিএস পরীক্ষায় মূল কোটা থাকবে, কি থাকবে না এই নীতিগত সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের। আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি এটি যাচাই করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে কোটা বাতিলের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মূল পরিবর্তন হলো নাতি-নাতনির পরিবর্তে, পরবর্তী প্রজন্মের বদলে সন্তান বলা হয়েছে।

অতএব কোটার বিষয়টিতে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে এটা একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাও প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী হয়েছে। তারপরও এটা স্ক্রুটিনি করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। তবে ফলাফল প্রকাশের পরই কোটা নীতিমালাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

দেখা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় ৭০ নম্বর পেয়েও সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাননি অনেক শিক্ষার্থী। অন্যদিকে, ৪১-৪৬ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা কোটা সুবিধার কারণে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের মধ্যে ২৬৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত। এছাড়া পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য রয়েছে ৩৯টি আসন। তবে এবার জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ২৬৯টি আসনের বিপরীতে পাস করেছেন মাত্র ১৯৩ জন। পাসকৃতদের যাচাই-বাছাই শেষে ভর্তির জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হবে।

জই২৪ ডটকম/শিক্ষা