শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

জনতার ইশতেহার ডেস্ক
প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ । ১১:১৩ অপরাহ্ণ

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। -ফাইল ছবি

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেলকক্ষে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকার সুপ্রিমকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তার সমাধি রয়েছে।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।

শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলি জাতিকে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার অবদান অসামান্য।

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ সকাল সাড়ে ৮টায় মরহুম নেতার মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত।

জই২৪ ডটকম/জাতীয়

সম্পাদক : মাহাবুর রহমান আঙ্গুর, নির্বাহী সম্পাদক : প্রদীপ রায় জিতু। রাকিবা টাওয়ার (৩য় তলা), বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন : +৮৮০৯৬১৩৪৪৪৪৩৩, ই-মেইল : info@localhost. কপিরাইট © উত্তরের কণ্ঠ সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত

প্রিন্ট করুন