
সংগৃহীত ছবি
২০২১ এর পর আবারও ইউরোর সেরার ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। নিজেদের ইতিহাসে এই প্রথম টানা দুই বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলো ইংলিশরা। শেষ মুহূর্তের গোলে নেদারল্যান্ডসকে কাঁদিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিজেদের আসন ঠিক করেছে ইংল্যান্ড।
ডর্টমুন্ডে ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ২-১ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে।
অথচ নেদারল্যান্ডসের শুরুটা হয় দারুণ। এগিয়ে যাওয়ার পর অবশ্য খেই হারিয়ে ফেলে তারা। তাই ষষ্ঠবার মতো ইউরোর সেমি-ফাইনাল খেলা ডাচরা এই নিয়ে হারল পাঁচবারই।
বুধবার রাতে ডর্টমুন্ডের সিগনাল ইদুনা পার্কে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিলো ইংল্যান্ড। ৭ মিনিটে শাভি সিমন্সের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ১৮ মিনিটে সমতায় ফেরান হ্যারি কেইন। আর শেষ মুহূর্তে যখন অতিরিক্ত সময়ের প্রস্তুতি চলছিলো তখন ইংলিশদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ওয়াটকিন্স।
অবশ্য মাত্র সাত মিনিটেই এগিয়ে গেছিল নেদারল্যান্ডসই। ডেক্লান রাইসের কাছ থেকে ছোঁ মেরে বল কেড়ে নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে গোল করেন ডাচ মিডফিল্ডার জাভি সিমন্স। এর কিছুক্ষণ পরই পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। ১৮তম মিনিটে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন হ্যারি কেইন।
প্রথমার্ধের খেলা এভাবেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটাই কমে আসে প্রথমার্ধের উত্তাপ। দুই দলই ধৈর্য নিয়ে খেলতে থাকে। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ানো প্রায় নিশ্চিত, তখনই ওয়াটকিন্সের সেই গোল। কেইনের বদলে ৮১ মিনিটে মাঠে নামা এই ফরোয়ার্ড ৯০ মিনিটে আরেক বদলি পালমারের পাস ধরে বেশ দুরহ্য কোণ থেকে মাটি কামড়ানো শটে পরাস্ত করেন ডাচ গোলরক্ষককে।
ইউরোর ফাইনালে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আগামী সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় বার্লিনে স্পেনের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড।
জই২৪ ডটকম/ফুটবল