
জই২৪ ডটকম
গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে পরিচালিত এ অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র এবং আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।
এই হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও আইআরজিসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ এবং ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের এই অভিযানের প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ চালায় ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হতেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও শীর্ষ মন্ত্রীদের সঙ্গে বাংকারে আশ্রয় নেন।
চলমান এই সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ এবং তেল আবিবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা—সবই যথেষ্ট হয়েছে। এবার থামার সময়। শান্তি ও কূটনীতির জয় হোক।”
এদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েনও এই সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজকের সঙ্গে আলাপে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করলেও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, “আমি সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছি। উত্তেজনা হ্রাসে সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখা এখন জরুরি।”
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতের তিনটি পৃথক ধাপে ইরান থেকে ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে। এতে এক নারী নিহত হন এবং অন্তত ৪৮ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র: এএফপি, আল জাজিরা