
জই২৪ ডটকম ফটো
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা স্কুল অব লিডারশীপের আয়োজিত “নির্বাচন না সংস্কার: বিদ্যমান পরিস্থিতি” শীর্ষক জাতীয় সংলাপে দ্বিতীয় পর্ব সেম্পন্ন হয়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) অনুষ্ঠিত উক্ত জাতীয় সংলাপে দেশবরেণ্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গবেষক, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও তরুণ প্রজন্মের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্কুল অব লিডারশীপ এর কো-অর্ডিনেটর হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী’র সঞ্চালনায় এবং স্কুল অব লিডারশীপের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর জামিল আহমেদ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সংলাপে মূূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ মো: শামীমুর রহমান।
প্রফেসর ডক্টর এ কে এম মতিনুর রহমান (লোক প্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের, কুষ্টিয়া) তার আলোচনায় বলেন, “দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান অবশ্যই জরুরী, তবে এ নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্যতা পায় সেইজন্য যতটুকু সংস্কার করা দরকার তা অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলে আর যাতে ফ্যাসিস্ট তৈরী না হয় সেজন্য সকলের দৃষ্টি রাখতে হবে।”
প্রফেসর ড. এম এম শরিফুল করিম, (বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজী বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন, “আগে নির্বাচন পরে গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে বড় বড় সংস্কার সম্পন্ন করা যেতে পারে। শুধুমাত্র নির্বাচন সুষ্ঠুভারে সম্পন্ন করার জন্য যে সকল সংস্কার প্রয়োজন তা এ সময় করা যেতে পারে।”
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সহসভাপতি বেলাল হোসেন বলেন, “স্থানীয় সরকার বিভাগ একটা আলাদা কাঠামো। এই বিভাগের নির্বাচন জাতীয় সরকার নির্বাচন এর পরে হলেই ভালো হয়, যাতে জাতীয় সরকার নির্বাচনে কোন প্রভাব বিস্তার না করতে পারে।”
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, “সংস্কার দুই প্রকারে করা যায়,একটি হলো দ্রুত সংস্কার অন্যটি হলো দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার। তবে দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের জন্য নির্বাচিত সরকারকেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত।”
বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির ঢাকা মহানগর উত্তর এর জেনারেল সেক্রেটারী কামরুল হাসান চৌধুরী বিপু বলেন যে, “সংস্কার সারাজীবন চলমান থাকবে এবং ইহা একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়া চলমান রাখার জন্য নির্বাচন খুবই জরুরী। তাই অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে সুষ্ঠুৃ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও সংগঠক আরিফ আমান ভূঞা বলেন যে, সংস্কার সবসময়ই দরকার তবে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় দরকার হলো রাজনৈতিক দলের মধ্যে সংস্কার।যতই সংস্কার হোক মানুষের মন মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সংস্কার ফলপ্রসু হবেনা। তাই নিয়মিত সকল দলের সাথে সংলাপের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুবুল আলম বলেন, “নির্বাচন ও করতে হবে সংস্কার ও করতে হবে। তবে শুধুমাত্র সংস্কারের জন্য নির্বাচন বন্ধ রাখা উচিত নয়। বিশ্ব মন্ডলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার সেটুকু করা উচিত।”
এডভোকেট আমিনুল ইসলাম মনির বলেন, “সংস্কার পৃথিবীর শুরু থেকেই অব্যাহত আছে। এমুহূর্তে শুধুমাত্র নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে যতটুকু সংস্কার দরকার শুধমাত্র ততটুকু সংস্কারই যথেষ্ঠ।”
লে.ক. শরীফ (অব.) তার বক্তব্যে বলেন, “সংস্কারের অবশ্যই প্রয়োজন আছে অন্যদিকে দ্রুত নির্বাচনও জরুরি।। কোন অবস্থায়ই নির্বাচন বন্ধ রেখে সংস্কারের জন্য কালক্ষেপণ করলে গণতন্ত্রের জন্য সুখকর হবে না।”
বিশিষ্ট সাংবাদিক কাজী বাশার বলেন যে, “নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার এ মুহূর্তে ততটুকু সংস্কারই যথেষ্ঠ।”
কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ সোল ইউএসএ, মোঃ ফয়েজ কাউসার বলেন যে, এ ধরনের জাতীয় সংলাপ, স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজন করবে যাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
জই২৪ ডটকম/রাজধানী
শেয়ার করুনঃ