বিচারককে জুতা নিক্ষেপে আটকের ৭ ঘণ্টা পর তরুণীর মুক্তি

পঞ্চগড়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অলরাম কার্জীকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপে আটকের সাত ঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছে মিনারা আক্তার।
পঞ্চগড়ে একটি হত্যা মামলার আসামিদের জামিন দেয়ায় পঞ্চগড়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অলরাম কার্জীকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপের অভিযোগে মিনারা আক্তারকে (২৫) এক তরুণী। এ ঘটনায় আটকের ৭ ঘণ্টা পর জামিনে মুক্তি দিয়েছে একই আদালতের বিচারক অলরাম কার্জী। একই সময় একটি সিআর (নালিশি) মামলায় ৫ হাজার টাকার বেল্ড বন্ডের (চুক্তি) মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৮ টার সময় ওই তরুণীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় জেলা জজ আদালত পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) জামাল হোসেন।
এর আগে একইদিন সকাল সাড়ে ১১টার সময় পঞ্চগড়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমলি আদালত-১ (পঞ্চগড় সদর) এর বিচারক অলরাম কার্জীর আদালতে জুতা নিক্ষেপের ঘটনার অভিযোগে তাকে আটক করে কোর্ট পুলিশ।
মিনারা আক্তার সাতমেরা এলাকার ইয়াকুব আলীর মেয়ে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন জানান, বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপের পর থেকে ওই তরুণীকে আদালতে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। এদিকে তার বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়েরে পর সন্ধ্যায় মেজবা ওয়ানুল করিম বসুনিয়া ওরফে বাবু নামে একজন অ্যাডভোকেট নিজ জিম্মায় জামিন আবেদন করলে জামিন মঞ্জুর করে তাকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত। মূলত আদালত অবমাননা ও হট্টগোল করার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে সিআর (নালিশি) মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে অ্যাডভোকেট মেজবা ওয়ানুল করিম বসুনিয়া ওরফে বাবু বলেন, ঘটনার পর মিনারা নামে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে তাজুল ইসলাম নামে একজন কর্মচারী বাদী হয়ে সিআর (নালিশি) মামলা দায়ের করে। এর পর ৫ হাজার টাকার বেল্ড বন্ডের মাধ্যমে তাকে জামিন করা হয়।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর জমি নিয়ে বিরোধে মৃত্যু হয় মিনারার বাবা ইয়াকুব আলীর। ওইদিন রাতেই মিনারা বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার আসামিদের মধ্যে প্রধান আসামিসহ তিনজন বাদে ১৬ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
তবে নিহতের পরিবার বিচারকের উপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে মিনারা আক্তার জানান, টাকার বিনিময়ে বিচারক অন্যায়ভাবে আসামিদের জামিন দিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে মিনারা আদালত প্রাঙ্গণে চিৎকার-আর্তনাদ করলে তাকে আটক করে আদালত কোর্ট পুলিশ।
নিহতের বড় ছেলে ফারুক হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, আদালতের এমন রায়ে আমার ছোটবোন মানসিকভাবে পুরো ভেঙে পড়ে। এরপর সে কান্নায় ভেঙে পড়ে চিৎকার শুরু করলে পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় বর্তমানে সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
জই২৪/সারাদেশ
সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ
- যেভাবে বিনামূল্যে অনলাইনে দেখবেন ক্লাব বিশ্বকাপ
- নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ১০০
- দশ দিন পর খুলল বেনাপোল বন্দর, আমদানি-রপ্তানিতে গতি
- এবার ভারতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ৭
- অতিরিক্ত ডিআইজির চার পদে রদবদল
- এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীরা: প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান সময়ের এক বিস্ময়কর যাত্রা

সর্বাধিক পঠিত
- আইএমও’র কাউন্সিল সদস্য হলো বাংলাদেশ
- জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র “স্পেন মাদ্রিদ” মহানগর কমিটি গঠিত
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিটি পরিবারকে “ফ্যামিলি কার্ড” দেওয়া হবে : তারেক রহমান
- ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম (ডিডিজেএফ) এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা।
- শ্রমিক দলের আহবায়ক গফুর হাসানকে নিজ এলাকায় ফুল দিয়ে বরন
- পোরশা গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
